Mrdmaksud - Maksudur Rahman Dulal
আমি ও শিক্ষক
একটা অহংকারবোধ আমারও কাজ করে, শব্দটা ঠিক অহংকার হবে নাকি অন্য কিছু তাও মাথা থেকে বের হয়না। এটা অবশ্যাই আমার শিক্ষকদের ব্যর্থতা!!
যাদের আমি মন থেকে সম্মান করতে পারিনা, তাদের পায়ে ধরে সালাম কিংবা কদমবুচি করতে পারিনা, ইচ্ছাও করেনা। (বক ধার্মিকরা, এখানে ধর্ম নিয়ে বর্ণনা করতে আসবেন না)।
ব্যতিক্রম শুধু আমার প্রাইমারির শিক্ষকরা, এককথায় আল জাবের ইনস্টিটিউট, আমাকে যারা শিক্ষা দিয়েছেন মানুষ হতে।
যে শিক্ষকরা লাঠি দিয়ে আমার পাছা গরম করছেন, তাঁদের এখনো শ্রদ্ধায় পা ধরে আমি সালাম করি।
খুব খারাপ ছাত্র ছিলাম না, হাতে ২ বেত বা ৫ বেত খেতাম একটা অপরাধে, স্কুলে যেতাম না নিয়মিত।
বিকেল হলে ভুলে যেতাম, সিডিউল মেলাতাম পরের দিন স্কুলে না গিয়ে কোন মাঠে খেলতে যাবো, এটা জানার পরও বেতের সাথে চামড়াও উঠতে পারে।
প্রিয় আলিম স্যার!
চোখের পানিতে এখনও মনে করতে পারি, দৌড়ে গিয়ে চোখের পানি মুছার জন্য টিউবওয়েলের নীচে মুখ ঢাকতে। আপনার বেতের জোরে হয়তো নিয়মিত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি, নিয়মিত মন থেকে চোখের জল ফেলতে পারি সবার জন্য দোয়া করতে।
বৃহস্পতিবারের বিভিন্ন নবী/রাসূলদের গল্প আমাকে শিখিয়েছে কেমন মানুষ আমাকে হতে হবে, পরিবার/সমাজ/রাস্ট্রের প্রতি আমার দায়িত্ব বা কর্তব্য।
প্রিয় শিক্ষকরা, আপনারা খারাপ ছিলেন না, আমরা আপনাদের হাত থেকে বেত এর পর জ্ঞান কেড়ে নিয়ে আপনাদের পঙ্গু করে ফেলছি, নিজেদের স্বার্থে!!
আপনারা যদি ভাল জ্ঞান বিতরণ করেন, তাহলে মসজিদ/মন্দির ভাঙবে কে?
জাত-পাত নিয়ে, অপরাধীর পক্ষ নিয়ে অন্যর ঘরে আগুন দিবে কে?
যত দিন বেঁচে থাকবো, আপনাদের দোয়া করে যাবো, আমাকে মানুষ বানানোর চেষ্টা করার জন্য।
ভাল থাকুক, আমার শিক্ষকেরা। যারা শুধু আমাকে দিয়ে গেছেন, বিনিময় চিন্তা না করে।
More Posts from Mrdmaksud

বৃষ্টি!!
শৈশবে ফেরা সম্ভব না, প্রকৃতির খেয়ালে। ইচ্ছা গুলো মনের গহীনে রেখে দিয়ে লাভ কি?
নিজের মতো করে, বাঁচি...
আপন খেয়ালে!!!
বিস্তারিত: www.fodangthangresort.com

সেকাল | বৃষ্টি
বৃষ্টি হলে ভিজতে হবে, এই ভেজার জন্য যত রকম তালবাহনা করা যায়, করতাম। কখনো ফুটবল মাঠ কিংবা পুকুরে দাপাদাপি অথবা সঙ্গীর অভাবে ছাদে গিয়ে শুয়ে থাকতাম, যতক্ষণ চোখ রক্তবর্ণ ধারণ না করতো।
বয়সের সাথে সাথে মাঠ, পুকুর ও বাসার ছাদ হারিয়ে গেছে। ইচ্ছা করলেও নিজের মতো করে বৃষ্টিতে ভেজা হয়নি অনেকদিন!!
বয়স হচ্ছে বলে আফসোস না করে, শৈশব ফিরছি আবার। এই মাচায় হবে আবার বৃষ্টি বিলাস। গাঢ় মেঘের ভিতরে ডুব দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজবো আবার, সাথে গরম গরম চা!!
অপেক্ষা বর্ষণের!!


Fodang Thang (ফদাং তাং) চাকমা ভাষা, যার বাংলা ভোরের আলো। রিসোর্টের বারান্দায় বসে সূর্য উদয়ের সাথে সাথে সূর্যের আলো আপনাকে ছুঁয়ে যায় বলে এই নামকরণ।
সাজেকের মূল পর্যটন এলাকা রুইলুই পাড়ার মূল সড়কের পূর্ব পাশে অর্থাৎ মিজোরাম ভিউ নিরিবিলি পরিবেশে গড়ে তোলা তিন তলা কাঠের রিসোর্টে তিন তলায় চারটি কাপল রুম এবং দ্বিতীয় তলায় একটি কাপল ও দুটি ডাবল বেডেড রুম রয়েছে।

তৃতীয় তলায় চারটি কাপল রুম
------------------------------
অদ্রি, আভা, আইচুক, নিম্বাস প্রতিটির সাথে মিজোরাম ভিউ ব্যক্তিগত বারান্দা, গিজার সহ আধুনিক ওয়াশ রুম।
4500 টাকা (শুক্র ও ছুটির দিন)
3500 টাকা (অন্যান্য দিন)


দ্বিতীয় তলায় তিনটি রুম
------------------------
কৌমুদি, একটি কাপল দুই জনের জন্য মিজোরাম ভিউ রুম, যার কমন বারান্দা
2500 টাকা (শুক্র ও ছুটির দিন)
2000 টাকা (অন্যান্য দিন)
নখা ও খুম দুটি ডাবল বেডেড অর্থাৎ প্রতিটিতে চারজন করে থাকার ব্যবস্থা। প্রতিটি রুমের সাথে বারান্দা ও ওয়াশ রুম সংযুক্ত।
3500 টাকা (শুক্র ও ছুটির দিন)
3000 টাকা (অন্যান্য দিন)





** অতিরিক্ত থাকার জন্য জনপ্রতি ৫০০ টাকা যুক্ত হবে।
পূর্ব পাশে হওয়াতে মিজোরামের বড় বড় পাহাড়ে জমা মেঘ সরাসরি ছুঁয়ে যায় আমাদের আঙিনায়।
প্রতিটি পাহাড় সুন্দর, আমরা বলি আমাদের রিসোর্টের বারান্দা থেকে মেঘের আড়াল থেকে সূর্য উদয় সবচেয়ে বেশি সুন্দর।
বুকিং ও বিস্তারিত জানতে


01817722572
www.fodangthangresort.com
https://www.facebook.com/ruiluisajek